Ticker

6/recent/ticker-posts

পরিমাণগত রসায়ন ৪০টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম! প্রিয় শিক্ষার্থী উক্ত আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে পরীক্ষার সেরা প্রস্তুতির নিশ্চয়তায় পরিমাণগত রসায়নের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর শিখে নিতে পারবে।


পরিমাণগত রসায়ন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
পরিমাণগত রসায়ন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর


পরিমাণগত রসায়ন ৪০টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর | এইচএসসি রসায়ন ২য় পত্র।


প্রশ্ন ১। মোল কী?
উত্তর: কোনো পদার্থের যত গ্রাম ভরে 6.023×10^23 সমসংখ্যক অণু বা পরমাণু বা আয়ন থাকে, তত গ্রাম ভরকে ঐ পদার্থের মোল বলে।


প্রশ্ন ২। মোলার আয়তন কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও চাপে এক মোল পরিমাণ যে কোনো গ্যাসের আয়তনকে ঐ গ্যাসের মোলার আয়তন বলে।


প্রশ্ন ৩। মোলারিটি কী?

উত্তর: কোন দ্রবণের প্রতি লিটারে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে ঐ দ্রবণের মোলারিটি বলে।


প্রশ্ন ৪। মোলালিটি কী?

উত্তর: প্রতি দ্রাবকে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে দ্রবণের মোলালিটি বলে।


প্রশ্ন ৫। ppm কী? 

উত্তর: প্রতি লিটার দ্রবণে ঐ দ্রবের কত মিলিগ্রাম দ্রব দ্রবীভূত অবস্থায় আছে দ্রবের ঐ পরিমাণই ঐ দ্রবণের ppm ঘনমাত্রা বলে।


প্রশ্ন ৬। ppmv এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর: ppmv এর পূর্ণরূপ হলো parts per million by volume.


প্রশ্ন ৭। মোল ভগ্নাংশ কী?

উত্তর: কোনো মিশ্রণের একটি উপাদানের মোল সংখ্যার সঙ্গে ঐ মিশ্রণে উপস্থিত মোট মোল সংখ্যার অনুপাতই ঐ উপাদানের মোল ভগ্নাংশ।


প্রশ্ন ৮। ডেসিমোলার দ্রবণ কাকে বলে?

উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1L দ্রবণে দ্রবের এক দশমাংশ মোল দ্রবীভূত থাকলে একে ডেসিমোলার দ্রবণ বলে।


প্রশ্ন ৯। সেমিমোলার দ্রবণ কী?

উত্তর: প্রতি লিটার দ্রবণে অর্ধমোল দ্রব দ্রবীভূত থাকলে ঐ দ্রবণকে ঐ দ্রবের সেমিমোলার দ্রবণ বলে।


প্রশ্ন ১০। টাইট্রেশন কী?

উত্তর: অজানা ঘনমাত্রার কোনো দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয়ের লক্ষ্যে উক্ত দ্রবণের কত আয়তনের সাথে কোনো প্রমাণ দ্রবণের কত আয়তন ঠিক ঠিক বিক্রিয়া করতে পারে তা নির্ণয় করার পরীক্ষা কর্মই হলো টাইট্রেশন।


প্রশ্ন ১১। প্রশমন বিন্দু কী? 

উত্তর: প্রশমন বিক্রিয়ার শেষ বিন্দুই হচ্ছে প্রশমন বিন্দু। নির্দেশক নিজ বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে বিক্রিয়ার প্রশমন বিন্দু নির্দেশ করে।


প্রশ্ন ১২। টাইটার কী?

উত্তর: আয়তনিক বিশ্লেষণকালে টাইট্রেশনে ব্যবহৃত প্রমাণ দ্রবণ বা জ্ঞাত ঘনমাত্রার দ্রবণটিকে টাইটার বলে।


প্রশ্ন ১৩। প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কী?

উত্তর: প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ হলো ঐসব পদার্থ যেগুলো পরিবেশের কোনো উপাদান দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হয় না অর্থাৎ যাদের ঘনমাত্রা দীর্ঘদিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকে এবং পরিমাপ করার সময় রাসায়নিক নিক্তির কোনোরূপ ক্ষতি সাধন করে না।


প্রশ্ন ১৪। সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কী?

উত্তর: যেসব পদার্থ বায়ুর উপাদানসমূহ দ্বারা সহজে আক্রান্ত হয়, ফলে এসব পদার্থের দ্রবণের ঘনমাত্রা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে যায় তাই সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ।


প্রশ্ন ১৫। সোডিয়াম টেট্রাথায়োনেট এর সংকেত লেখ।

উত্তর: সোডিয়াম টেট্রাথায়োনেট এর সংকেতগুলো Na2S4O6


প্রশ্ন ১৬। জারণের ইলেকট্রনীয় সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: ইলেকট্রনীয় মতবাদ অনুসারে,যে বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রনের অপসারণ ঘটে তাকে জারণ বলে।


প্রশ্ন ১৭। জারণ সংখ্যা কী?

উত্তর: কোনো যৌগে কোনো মৌলের একটি পরমাণু যতটি ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জন করে ইলেকট্রনের ঐ সংখ্যাকে উক্ত মৌলের জারণ সংখ্যা বলা হয়।


প্রশ্ন ১৮। জারণের ইলেকট্রনীয় সংজ্ঞা দাও।

 উত্তর: ইলেকট্রনীয় মতবাদ অনুসারে ,যে বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রনের অপসারণ ঘটে তাকে জারণ বলে।


প্রশ্ন ১৯। জারকের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: জারণ-বিজারণ ইলেকট্রনীয় মতবাদ অনুসারে যেসব পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হয় তাদেরকে জারক বলে।


প্রশ্ন ২০। বিজারক কী?

উত্তর: জারণ-বিজারণ এর ইলেকট্রনীয় মতবাদ অনুসারে, বিজারক হলো ঐ সমস্ত পদার্থ যারা দ্রবণে ইলেকট্রন দান করে।


প্রশ্ন ২১। রিডক্স বিক্রিয়া কী?

উত্তর: ইলেকট্রনীয় মতবাদ অনুসারে, যে বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রনের অপসারণ ঘটে তাকে জারণ এবং যে বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে বিজারণ বলে। জারণ ও বিজারণ বিক্রিয়াকে একসাথে জারণ-বিজারণ বা রিডক্স বিক্রিয়া বলে।


প্রশ্ন ২২। স্বতঃ জারণ-বিজারণ কী?

উত্তর: কোনো কোনো জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় একই পদার্থ আংশিক জারিত ও আংশিক বিজারিত হয়, এ বিক্রিয়াকে স্বতঃ জারণ-বিজারণ বলে।


প্রশ্ন ২৩। দর্শক আয়ন কী?

উত্তর: জলীয় দ্রবণে যে আয়নগুলো বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না সেগুলোই দর্শক আয়ন।


প্রশ্ন ২৪। অর্ধবিক্রিয়া কী?

উত্তর: জারক কর্তৃক ইলেকট্রন গ্রহণ বা বিজারক কর্তৃক ইলেকট্রন ত্যাগের প্রক্রিয়াই হচ্ছে অর্ধবিক্রিয়া।


প্রশ্ন ২৫। বিজারণ অর্ধবিক্রিয়া কী?

উত্তর: রিডক্স বিক্রিয়ার যে অংশে বিজারণ ঘটে তাকে বিজারণ অর্ধবিক্রিয়া বলে।


প্রশ্ন ২৬। অসামঞ্জস্য বিক্রিয়া কী?

উত্তর: যে বিক্রিয়ায় একই পদার্থের যুগপৎ জারণ ও বিজারণ ঘটে তাকে অসামঞ্জস্য বিক্রিয়া বলে।


প্রশ্ন ২৭। নির্দেশক কী?
উত্তর: টাইট্রেশনকালে বিক্রিয়ার সমাপ্তি বিন্দু নির্ধারণের জন্য কনিকেল ফ্লাস্কের দ্রবণে এমন একটি জৈব যৌগ যোগ করা হয়, বিক্রিয়ার সমাপ্তি বিন্দুতে যার সুস্পষ্ট বর্ণ পরিবর্তন ঘটে, সে জৈব যৌগই নির্দেশক।


প্রশ্ন ২৮। অম্ল-ক্ষার নির্দেশক কী?
উত্তর: এসিড-ক্ষার বিক্রিয়ার প্রশমন বিন্দু বা তুল্যতা বিন্দু জানার জন্য যেসব যৌগ ব্যবহৃত হয় তাদেরকে অম্ল-ক্ষার নির্দেশক বলে।


প্রশ্ন ২৯। মিথাইল অরেঞ্জের pH পরিসর কত?
উত্তর: মিথাইল অরেঞ্জের pH পরিসর 3.1-4.4 ।


প্রশ্ন ৩০। উপযুক্ত নির্দেশক কী?
উত্তর: টাইট্রেশনের প্রশমন বিন্দুতে যে নির্দেশক হঠাৎ বর্ণ পরিবর্তন করতে পারে সেটিই ঐ টাইট্রেশনের জন্য উপযুক্ত নির্দেশক।


প্রশ্ন ৩১। অম্লীয় মাধ্যমে মিথাইল রেড কোন বর্ণ ধারণ করে?
উত্তর: অম্লীয় মাধ্যমে মিথাইল রেড লাল বর্ণ ধারণ করে।


প্রশ্ন ৩২। মিথাইল অরেঞ্জের pH পরিসর কত?
উত্তর: মিথাইল অরেঞ্জের pH পরিসর 3.1-4.4।


প্রশ্ন ৩৩। মোলার দ্রবণ কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো দ্রবণের প্রতি লিটার আয়তনে কোনো দ্রবের এক মোল পরিমাণ দ্রবীভূত থাকলে সে দ্রবণই ঐ দ্রবের মোলার দ্রবণ।


প্রশ্ন ৩৪। সেমিমোলার দ্রবণ কী?
উত্তর: প্রতি লিটার দ্রবণে অর্ধমোল দ্রব দ্রবীভূত থাকলে ঐ দ্রবণকে ঐ দ্রবের সেমিমোলার দ্রবণ বলে।


প্রশ্ন ৩৫। SATP-এ মোলার আয়তন কত?
উত্তর: SATP-এ মোলার আয়তন 24.789 L.


প্রশ্ন ৩৬। প্রমাণ দ্রবণ কী?
উত্তর: প্রমাণ দ্রবণ হলো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো দ্রবের নির্দিষ্ট পরিমাণ যুক্ত দ্রবণ।


প্রশ্ন ৩৭। আয়োডিমিতি কী?

উত্তর : আয়োডিমিতি হলো সরাসরি প্রমাণ আয়োডিন দ্রবণের সাহায্যে সোডিয়াম থায়োসালফেট, সালফাইট, আর্সেনাইট ইত্যাদি বিজারক পদার্থের টাইট্রেশন করার মাধ্যমে এদের পরিমাণ নির্ধারণ করার পদ্ধতি।


প্রশ্ন ৩৮। রেসিমিক মিশ্রণ কী?

উত্তর : সমমোলার পরিমাণ dexto এবং levo এনানসিওমারদ্বয়ের মিশ্রণই হলো রেসিমিক মিশ্রণ।


প্রশ্ন ৩৯। লুকাস বিকারক কী?

উত্তর : গাঢ় HCl এসিডে অনাদ্র জিংক ক্লোরাইড এর দ্রবণই লুকাস বিকারক।


প্রশ্ন ৪০। জারণ বিভব কাকে বলে?

উত্তর : ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত করতে প্রয়োজনীয় শক্তিকে জারণ বিভব বলে।


আরও পড়ুন- পরিবেশ রসায়ন ৫০টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর



তোমরা নিশ্চয়ই এতক্ষণে পুরো আর্টিকেলটি পড়েছ।আজকের এই পরিমাণগত রসায়নের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন গুলো কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানিও।আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারো এবং EduRunway ওয়েবসাইটের পাশেই থেকো!